যুক্তরাষ্ট্রের সেনেটে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসন বিচার শুরু হবে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের।

সেনেটে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের একটি সমঝোতায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘সহিংসতায় উস্কানি’ দেয়ার অভিযোগে অভিশংসন আর্টিকেলটি সোমবার সেনেটে পাঠাবে ডেমোক্র্যাটরা।

কিন্তু ফেব্রুয়ারির আট তারিখের আগে এই বিষয়ে শুনানি শুরু হবে না। কারণ মি. ট্রাম্পের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরার জন্য তার আইনজীবীদের দুই সপ্তাহ সময় দেয়া হবে।

কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন শুরু হবার সময়ে সমর্থকদের উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে
কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন শুরু হবার সময়ে সমর্থকদের উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

তার বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বারের এই বিচার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে ঠিক প্রায় এক বছর পরে, যখন সেনেট তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার আর কংগ্রেসের কাজে বাধা দেয়ার মতো অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল।

জো বাইডেন এবং তার ছেলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার জন্য ইউক্রেনের ওপর চাপ দেয়ার অভিযোগ ওঠায় সেবার তাকে অভিশংসিত করেছিল হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ।

মি. ট্রাম্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে গত বুধবার এবং তিনি জো বাইডেনের অভিষেকের আগেই ওয়াশিংটন ছেড়ে চলে গেছেন।

সেনেটের ডেমোক্র্যাট শীর্ষ নেতা চাক শুমার শুক্রবার বলেছেন যে, অভিশংসনের নিবন্ধটি সোমবার সেনেটে তুলে ধরা হবে।

‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসনের ব্যাপারে একটি বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করবে সেনেট। এটা হবে পুরাদস্তুর নিরপেক্ষ বিচার কার্যক্রম,” সেনেটে বলেছেন মি. শুমার।

ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের আচরণের কারণে তার অভিশংসন প্রক্রিয়া চলছে। সেই সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হোয়াইট হাউজের কাছে তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন যেন তারা ‘শান্তিপূর্ণ ও দেশপ্রেমিক’ ভাবে তাদের কণ্ঠ তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেছিলেন যেন তার ‘ভয়াবহভাবে লড়াই করেন’।

সেনেটে রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেলের অফিস জানিয়েছে, বিচার কার্যক্রম শুরুর আগে মি. ট্রাম্পকে আরো কিছু সময় দেয়ার জন্য তিনি যে অনুরোধ করেছিলেন, মি. শুমার সেই অনুরোধ রক্ষা করায় তিনি খুশী হয়েছেন।

এখন সেনেটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসনের বিচার কার্যক্রম শুরু হবে নয়ই ফেব্রুয়ারি।

হাউজ অব রিপ্রেজেন্টিটিভে অভিশংসন প্রস্তাব পাস হলেও সেটা সেনেটে শুনানির পর দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে পাস হতে হবে।