এম এম নাছির,বাংলাপোস্ট২৪
স্কোর:
ভারত: ২০ ওভারে ১৪৮/৬ (ধাওয়ান ৪১, রোহিত ৯, রাহুল ১৫, শ্রেয়াস ২২, পান্ত ২৭, দুবে ১, পান্ডিয়া ১৫*, সুন্দর ১৪*; শফিউল ৪-০-৩৬-২, আল আমিন ৪-০-২৭-০, মুস্তাফিজ ২-০-১৫-০, আমিনুল ৩-০-২২-২, সৌম্য ২-০-১৬-০, আফিফ ২-০-১৫-০, মোসাদ্দেক ১-০-৮-০, মাহমুদউল্লাহ ১-০-১০-০)
বাংলাদেশ: ১৯.৩ ওভারে ১৫৪/৩ (লিটন ৭, নাঈম ২৬, সৌম্য ৩৯, মুশফিক ৬০*, মাহমুদউল্লাহ ১৫*; চাহার ৩-০-২৪-১, সুন্দর ৪-০-২৫-০, খলিল ৪-০-৩৭-১, চেহেল ৪-০-২৪-১ , পান্ডিয়া ৪-০-৩২-০, দুবে ০.৩-০-৯-০ )।
টি-টোয়েন্টিতে আগের ৮ বারের দেখায় একবারও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম জয়টি এলো দেশের ক্রিকেটের দারুণ দুঃসময়ে। মুশফিকুর রহিমের দারুণ ইনিংস দলকে এনে দিল বহু কাঙ্ক্ষিত জয়।
শুরু থেকে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ভারতকে বেশিদূর যেতে দেননি টাইগার বোলাররা। সিরিজে লিড নিতে চাইলে মুশফিক-সৌম্যদের করতে হতো ১৪৯ রান। এবার আর তীরে এসে তরী ডুবেনি টাইগারদের। টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি দেখায় নবম ম্যাচে এসে ভারতকে হারালো বাংলাদেশ। সাকিব-তামিমকে ছাড়াই মুশফিক-সৌম্যদের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে জিতেছে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
গত কয়েক বছরে বেশ কবার কাছে গিয়েও হেরেছিল বাংলাদেশ। মুশফিক নিজে পারেননি কাজ শেষ করতে। এবার সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি হয়নি। ৪৩ বলে ৬০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে মুশফিক ফিরেছেন দলের জয় সঙ্গে নিয়ে।
শেষ ২ ওভারে যখন প্রয়োজন ২২ রান, ১৯তম ওভারের শেষ চার বলে খলিল আহমেদকে টানা চার মেরে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যান মুশফিক।
২০১৬ সালে বেঙ্গালুরুতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৩ বলে ২ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেননি মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। এবার মাহমুদউল্লাহও ছিলেন উইকেটে। শেষ ওভারে তার ছক্কায় নিশ্চিত হয়েছে জয়।
ভারতসহ উপমহাদেশে স্টার স্পোর্টসের মাধ্যমে দেখা যাবে সিরিজটি। স্টার স্পোর্টস ছাড়াও বাংলাদেশে সিরিজের টিভি স্বত্ব নিয়েছে আরও দুইটি চ্যানেল। গাজী টিভিসহ (জিটিভি)চ্যানেল নাইনের পর্দায় খেলা দেখা যাবে। পাশাপাশি দেশের সরকারি চ্যানেল বিটিভি ম্যাচগুলো সরাসরি সম্প্রচার করবে। ভারতীয়রা অনলাইন দেখতে পারবেন হটস্টারের মাধ্যমে এবং বাংলাদেশে দেখা যাবে র্যাবিটহোলের মাধ্যমে। স্কাই স্পোর্টস, ফক্স স্পোর্টসেও দেখা যাবে সিরিজটি।