ঝর্ণা দেখার আনন্দ নিয়ে বাড়ি ফেরা হল না হাটহাজারীর ১১ জনের; মিরসরাইয়ের একটি রেল ক্রসিংয়ে দ্রুতগামী ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল তাদের।
সকালে গিয়ে বিকালের মধ্যেই পাশের উপজেলা থেকে ঝর্ণা দেখে ফেরার কথা ছিল তাদের; দুপুরের দিকে কারও এক ‘ভুলে’ আনন্দ আয়োজন পরিণত হয় বেদনায়, কান্নায় রোল ওঠে তাদের বাড়িতে।
অরক্ষিত একটি রেল ক্রসিং হয়ে ওঠে প্রাণ সংহারী। দ্রুতগ্রামী ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ যায় এক মাইক্রোবাসে থাকা ১১ জনের। আহত হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন আরও ছয়জন।
বিষাদ ছড়ানো সংবাদ শিরোনাম হওয়া চট্টগ্রামের সেই ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার ঠিক আগেই সেখান দিয়ে ঢাকার পথে ছুটে গেছে আরেকটি ট্রেন। অন্য সময়ের মত স্বাভাবিকই ছিল সবকিছুই।
একটু পরেই ঘটে যায় মারাত্মক সেই দুর্ঘটনা; চট্টগ্রামমুখী মহানগর প্রভাতী ট্রেনেরও কাছাকাছি সময়ে ওই ক্রসিং অতিক্রম করার সময় ছিল। তবে সবকিছু ওলটপালট হয়ে যায় সেই রেল লাইনে পর্যটক ভর্তি একটি মাইক্রোবাস উঠে পড়লে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই দ্রুতগামী ট্রেনের সামনে পড়ে যায় সেটি, ঘটে যায় ভয়ানক এক দুর্ঘটনা।
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ‘খৈয়াছড়া ঝর্ণা রেল ক্রসিং’ নামে পরিচিত ওই এলাকায় ট্রেনটির প্রবল ধাক্কায় মাইক্রোবাস থেকে সঙ্গে সঙ্গে ছিটকে পড়েন ৬ জন, বাকিদেরসহ গাড়িটিকে ঠেলে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে বড়তাকিয়া রেল স্টেশনের কাছাকাছি নিয়ে যায় আন্তঃনগর ট্রেনটি।