বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে মূলত ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সেই স্ট্যাটাসটি হলো
‌’১. ৪৭ এ দেশভাগের পর দেশের পশ্চিমাংশেে কোন সমুদ্রবন্দর ছিল না। তৎকালীন সরকার ৬ মাসের জন্য কলকাতা বন্দর ব্যবহারের জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ করল। কিন্তু দাদারা নিজেদের রাস্তা নিজেদের মাপার পরামর্শ দিছিলো। বাধ্য হয়ে দুর্ভিক্ষ দমনে উদ্বোধনের আগেই মংলা বন্দর খুলে দেওয়া হয়েছিল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ ইন্ডিয়াকে সে মংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য হাত পাততে হচ্ছে।


সেই স্ট্যাটাসটি হলো
‌’১. ৪৭ এ দেশভাগের পর দেশের পশ্চিমাংশেে কোন সমুদ্রবন্দর ছিল না। তৎকালীন সরকার ৬ মাসের জন্য কলকাতা বন্দর ব্যবহারের জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ করল। কিন্তু দাদারা নিজেদের রাস্তা নিজেদের মাপার পরামর্শ দিছিলো। বাধ্য হয়ে দুর্ভিক্ষ দমনে উদ্বোধনের আগেই মংলা বন্দর খুলে দেওয়া হয়েছিল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ ইন্ডিয়াকে সে মংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য হাত পাততে হচ্ছে।

২. কাবেরি নদীর পানি ছাড়াছাড়ি নিয়ে কানাড়ি আর তামিলদের কামড়াকামড়ি কয়েকবছর আগে শিরোনাম হয়েছিল। যে দেশের এক রাজ্যই অন্যকে পানি দিতে চাই না সেখানে আমরা বিনিময় ছাড়া দিনে দেড়লাখ কিউবিক মিটার পানি দিব।

৩. কয়েকবছর আগে নিজেদের সম্পদ রক্ষার দোহাই দিয়ে উত্তরভারত কয়লা-পাথর রপ্তানি বন্ধ করেছে অথচ আমরা তাদের গ্যাস দিব। যেখানে গ্যাসের অভাবে নিজেদের কারখানা বন্ধ করা লাগে সেখানে নিজের সম্পদ দিয়ে বন্ধুর বাতি জ্বালাব।

হয়তো এসুখের খোঁজেই কবি লিখেছেন-
“পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
এ জীবন মন সকলি দাও,
তার মত সুখ কোথাও কি আছে
আপনার কথা ভুলিয়া যাও।”‘

৪. এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর তার দেওয়া স্ট্যাটাসে এক লাখ পাঁচ হাজার মানুষ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিন হাজার নয়শ জন সেই স্ট্যাটাস শেয়ার করেছেন।
স্ট্যাটাসটি হলো
‘কে বলে হিন্দুস্তান আমাদের কোন প্রতিদান দেয়না। এইযে ৫০০ টন ইলিশ পাওয়ামাত্র ফারাক্কা খুলে দিছে। এখন আমরা মনের সুখে পানি খাবো আর বেশি বেশি ইলিশ পালবো। ইনশাল্লাহ আগামী বছর এক্কেবারে ১০০১ টন ইলিশ পাঠাবো।’

৫. ২৮ সেপ্টম্বর আরেকটি স্ট্যাটাস দেন আববার। ৮৬ হাজারের বেশি মানুষ তাতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবং প্রায় দুই হাজার জন শেয়ার করেছেন স্ট্যাটাসটি। স্ট্যাটাসটিতে যা লিখেছেন আবরার-
‘একটা সময় ভাবতাম অনেক উচ্চশিক্ষিত একটা মেয়ে বিয়ে করব। তার অনেক গুণ থাকবে। কিন্তু একদিন আমি বুয়েটে চান্স পাইলাম। অতঃপর হলের ডাইনিং এ খাইতে গেলাম। এখন আমার একটাই ইচ্ছা- আমার বউ রান্না করতে পারলেই হবে।
#ignore_discrimination’

২১ সেপ্টেম্বর আবরার একটি নিউজ শেয়ার করে লেখেন, আমিও ইতিহাস গড়তে চাই। নিউজটা হলো, বিয়ে করতে শতাধিক কনে যাত্রী গেলো বরের বাড়ি। তার সেই স্ট্যাটাসে ৩৩ হাজার জন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবং অনেকেই তা শেয়ার করেছেন।