বাংলাদেশে ১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করার কথা বলছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ”যেহেতু আমরা সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিচ্ছি, কাজেই ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদেরও টিকা দিবো। তবে তার আগে ডব্লিউএইচওর অনুমোদন নিবো।”
”এজন্য আমাদের টেকনিক্যাল কমিটির অনুমোদনও পেতে হবে। যার অপেক্ষায় আমরা আছি।” তিনি বলছেন।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ”১৮ বছরের কম বয়সীদের টিকা দেয়ার জন্য যে সমস্ত তথ্য উপাত্ত দরকার এবং ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের যে অনুমোদন দরকার, সেটা পাইনি। এই কারণে আমরা উচ্চ পর্যায় থেকেও কোন সিদ্ধান্ত পাইনি যে ১৮ বছরের নীচে টিকা দিতে হবে।”
”পৃথিবীর কোন কোন দেশ নিজেদের ব্যবস্থাপনায় (১৮ বছরের কম বয়সীদের) কিছু টিকা দিয়েছে। তাদের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। যেহেতু ১৮ বছরের নীচের বয়সীদের ওপর কোন ট্রায়াল হয়নি, ফলে যেকোনো টিকা নির্বাচনের ব্যাপারেও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।” বলছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
”বাংলাদেশের সরকার যদি তাদের তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে নিজস্ব প্রটোকলে টিকা দিতে চায়, তাহলে সেইরকম ব্যবস্থা নেয়া হবে,” তিনি বলছেন।
বাংলাদেশের যে পরিমাণ টিকা পাইপলাইনে রয়েছে, তাতে টিকার কোন সংকট হবে না বলে তিনি জানিয়েছেন।
১২ই সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশের স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর শিশু- কিশোরদের টিকা দেয়ার ইস্যুটি সামনে এসেছে।
অনেক বিশ্লেষকের আশঙ্কা, স্কুল বয়সীরা করোনাভাইরাসের বাহক হিসাবে কাজ করতে পারে।
এই প্রসঙ্গে ডা. আলম বলছেন, ”বাচ্চাদের টিকার প্রয়োজন আছে, এই সত্যটাই তো এখনো প্রমাণিত হয়নি। কোন তথ্যই এখনো পৃথিবীর কাছে পরিষ্কার নয় যে, কী করলে কী হবে? এই ভাইরাসের গতিপ্রকৃতি তো সঠিকভাবে কেউ নির্ণয় করতে পারেনি। নানা সময়ে সংযোজন, বিয়োজন, পরিবর্তন করতে হবে। সেটাকে মাথায় রেখেই আমরা কাজ করছি।”
দেশটিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার পর ফাইজার, মর্ডানা ও সিনোফার্মের টিকা দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৯১ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া সম্ভব হয়েছে।
বিবিসি