অনলাইন ডেস্ক :
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাঁগধা ইউনিয়নের আস্কর গ্রামে বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়িকে খাবার না দেওয়াসহ মারধর করে ঘর থেকে তাড়ানোর চেষ্টার দায়ে মনিকা বৈরাগী নামে এক গৃহবধূকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাসের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ মঙ্গলবার রাতে এই দণ্ডাদেশ দেওয়ার পর বুধবার সকালে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। মনিকা ওই গ্রামের ভ্যান চালক খোকন বৈরাগীর স্ত্রী।খোকন বৈরাগীর বাবা ভবসিন্ধু বৈরাগী জানান, গত ছয় মাস ধরে তাকে এবং তার সহধর্মীনি বিমলা অধিকারীকে ঘরের বারান্দায় থাকতে দেয় পুত্রবধূ মনিকা। এমনকি তাদের তিনবেলা খাবারও দেয় না। রান্নাঘরে রান্না করতে গেলে গালাগাল এমনকি তাদের মারধরও করে। ঘর থেকে তাড়িয়ে দিতে তাদের উপর নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে পুত্রবধূ। বিষয়টি ছেলে খোকন জানলেও সে বৌয়ের উপর কোনও কথা বলতে পারে না। শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান তিনি।
ইউএনও বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, গত ২৩ অক্টোবর ভবসিন্ধু বৈরাগীর লিখিত অভিযোগ পেয়ে মনিকাকে অফিসে আসার জন্য চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু মনিকা অফিসে আসেননি। এ কারণে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি (ইউএনও) এবং সমাজসেবা কর্মকর্তা ভবসিন্ধুর বাড়ি যান। সেখানে গিয়ে আবারও ভবসিন্ধুর সকল অভিযোগ তার কাছ থেকে শোনেন। এ সময় ভবসিন্ধুর পুত্রবধূ মনিকা তার সামনে ছিলেন। তাদের মধ্যে মীমাংসার চেষ্টাও করেন। কিন্তু মনিকা কোনওভাবেই তা মেনে নিতে পারেননি। এ সময় মনিকার স্বামী খোকন বৈরাগী বাড়িতে ছিলেন না। মনিকা কোনওভাবে সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে না নেওয়ায় সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে তাকে আটক করে উপজেলা কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মনিকা অকপটে তার অপরাধ স্বীকার করেন। এ সময় তাকে এক মাসের দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
ইউএনও আরও জানান, বৃদ্ধ বাবা-মা’কে ওই ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের সঙ্গে কোনও ধরনের দুর্ব্যবহার করলে কিংবা ঘর থেকে নামিয়ে দেওয়া হলে তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময় :৭০৪ ঘন্টা ,৩০অক্টোবর ১৯
বাংলাপোস্ট২৪/ জামিল