বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় জেলা সিলেট ও নারায়ণগঞ্জ সব থানায় এলএমজি চৌকি বা হালকা মেশিনগানসহ নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, এই জেলার সবকটি থানাতেই নিরাপত্তা চৌকি বসানোর কাজ শুরু হয়েছে।
সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মুহাম্মদ লুৎফর রহমান বলছেন দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের ওপার হামলা হয়েছে, তার প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়ছে।
তিনি জানিয়েছেন ১১টি থানাতেই এধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ বলছে, মূলত চারদিকে বালির বস্তা দিয়ে বাংকারের মতো করে এসব চৌকি স্থাপন করা হচ্ছে যার ভেতরে মেশিনগান সহ পুলিশ সদস্য অবস্থান করছেন।
এর আগে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন ডিসি তোফায়েল আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিরাপত্তার জন্য এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
“সারাদেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে থানা ও সরকারি সম্পত্তির সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার জন্য ছয় থানায় এলএমজি চৌকি স্থাপন করা হয়েছে,” বলছিলেন তিনি।
এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজী হন নি।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে হাটহাজারি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ কয়েকটি জায়গায় থানাসহ সরকারি স্থাপনায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বিশেষ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরকে কেন্দ্র করে হেফাজত ইসলামসহ ধর্মভিত্তিক কিছু দলের বিরোধিতার জের ধরে সহিংসতার সময় সরকারি নানা স্থাপনায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ঘোষিত লকডাউন কার্যকর করা নিয়েও নানা জায়গায় সংঘর্ষ হয়েছে এবং এর মধ্যে ফরিদপুরের সালথায় সরকারি অফিসে হামলা হয়েছে।
মূলত এসব নানা ঘটনার পর পুলিশ প্রশাসনে নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার খবর স্থানীয় গণমাধ্যমে আসছিলো।
তবে সিলেটের এই এলএমজি চৌকির সাথে তার কোন সম্পর্ক আছে কি-না তা নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোন মন্তব্য করা হয়নি।
৭নারায়ণগঞ্জ থানা ও ৮টি ফাঁড়িতে বিশেষ নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন করা হয়েছে। বুধবার রাত থেকে থানার নিরাপত্তার অংশ হিসেবে গুরুত্ব অনুসারে থানা, ফাঁড়ি ও তদন্তকেন্দ্রে এলএমজি পোস্ট ও সিমেন্টের বস্তা দিয়ে বিশেষ ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে পুলিশ সদস্যের সংখ্যা। এসব চৌকিতে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজার থানায় গিয়ে দেখা যায়, থানার ছাদের ওপর গোলঘরে সিমেন্টের বস্তা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে চৌকি। সেখানে দায়িত্বরত পুলিশের এক সদস্য এলএমজি তাক করে বসে আছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম জানান, পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনায় জেলার ৭টি থানা ও ৮টি ফাঁড়িতে ওই বিশেষ চৌকি স্থাপন করা হয়েছে। বাড়তি নিরাপত্তার অংশ হিসেবে পুলিশের আওতাধীন সব থানা, ফাঁড়ি, তদন্তকেন্দ্র ও স্থাপনাগুলোতে এলএমজি পোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।
source : BBC and BD pratidin