রাজশাহীর বাঘায় নিজেদের মধ্যে কলহের জেরে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে তাকে নিজেই হাসপাতালে নিয়ে গেছেন স্ত্রী। আজ শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে স্বামীকে রেখে পালিয়ে যান তিনি।
ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তি নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার বাসিন্দা। তিনি বাঘায় শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানেই এ কাণ্ড ঘটনা তার স্ত্রী। ভুক্তভোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আহত ব্যক্তি জানান, বিয়ের পর তার স্ত্রী বাবার বাড়িতেই থাকেন। মাঝেমধ্যে তিনি স্ত্রীকে দেখতে শ্বশুর বাড়িতে যান। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ তৈরি হয়। এর জেরে আজ শুক্রবার ভোরে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে তিনি ঘুমাতে যান। এ সুযোগে তার স্ত্রী পুরুষাঙ্গে ব্লেড চালিয়ে দেন।
জানা যায়, রক্তক্ষরণ শুরু হলে স্বামীকে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান ওই নারী নিজেই। পরে সেখানে তার স্বামীকে বারান্দায় ফেলে পালিয়ে যান ওই নারী।
চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মৌসুমী ইসলাম বলেন, ‘সকালে গুরুতর অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়। তার পুরুষাঙ্গ পুরোপুরি কাটেনি। কিন্তু খুব বাজেভাবে কেটে গেছে। প্রচুর রক্তপাত হচ্ছিল। প্রথমে আহত ব্যক্তি অস্বীকার করেন যে, তার স্ত্রী এই কাজ করেছেন। পরে তিনি ঘটনা স্বীকার করেন। তারপর থেকে তার স্ত্রীকে দেখতে পাইনি।’
এ বিষয়ে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, খবরটি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।