অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে কেবল ভাবী,
তোমার অনুভূতি, তোমার দায়ীত্বববোধ
কিভাবে বিষ্মিত করে আমায়।
খুব তো চন্চল মনে বলেছিলে,
তুমি বড়ই দায়ীত্ববান,দয়াবান,
প্রেমময় এক প্রতিচ্ছবি,
নও তুমি কোন স্বার্থান্বেষী।

রাখালীয়ার বাঁশীর সুরের মত
যখন ই ডাকবো
শত বাঁধা করে উপেক্ষা আসবে ছুটে,
সেই নিধি মাঠে।

তব আজো আমি একা,
আজো একা সেই পথচলা,
আজো তোমার একটু ইশাড়ার অপেক্ষায়
কেটে যায় আমার সারা বেলা।

আজো তোমার নুপুরের ছন্দ
দোলা দেয় অদৃশ্যভাবে,আনমনে।
ফ্যাল ফ্যাল চাহনী,
মিষ্টি মুখের মায়াবী হাসি,
আমি,
কি করে ভুলতে পারি?

হঠাৎ শুকনো পাতার মড়মড় আওয়াজ
ঘুমে জড়ানো মন কে জাগিয়ে তুলে,
এই বুঝি তুমি আসছো।
পড়ন্ত বেলার শ্বাসত আযানের সুর ধ্বনি
মনে করিয়ে দেয় তোমার দেয়া প্রতিশ্রুতি।

হয়তো তুমি পেরেছো ভুলে যেতে সে সব,
অথচ প্রেমের দেনায় দেওলিয়া এ মন
অতটা সহজে কি সব ভুলতে পারে?
এখানেই তোমার আর আমার মাঝে
সাত সমুদ্র ব্যবধান।

তবু তুমি তো তুমি ই,
তুমিই হৃদয়ের পুরো টা জুড়ে।
তুমি ই এক পৃথিবী বিশ্বাস,
এক পৃথিবী স্বপ্ন,
এক পৃথিবী ভালো বাসা।
শুধু তুমি।

উৎস্বর্গ : নীলা(ছদ্মনাম)
চৌধুরী সাজু। (কবি,সাহিত্যিক ও গায়ক)