এমএম নাছির,বাংলাপোস্ট২৪.নিউজঃ

সরকারি খরচে থাকা-খাওয়া আর প্রশিক্ষণ শেষে সনদের সঙ্গে চাকরির নিয়োগপত্র দিচ্ছে বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক)। প্রশিক্ষণকালীন সময়ে ভাতাও প্রদান করা হয়। সেপা প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্বল্পশিক্ষিত, দরিদ্র এবং পিছিয়ে পড়া বেকার যুব-মহিলাদের ৯টি ট্রেডে তিন মাস এবং যুবকদেরকে ৩টি ট্রেডে ২ মাস মেয়াদি কারিগরি প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বিটাক।

সেপা প্রকল্পে মহিলাদের জন্য ৯টি ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এগুলো হলো লাইট মেশিনারিজ, ইলেকট্রিক্যাল মেইনটেন্যান্স, অটোক্যাড, হাউজহোল্ড অ্যাপ্লায়েন্স, ইলেকেট্রনিকস, রিফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং, প্লাস্টিক প্রসেসিং (জেনারেল), প্লাস্টিক প্রসেসিং (কাস্টোমাইজ) এবং কার্পেন্ট্রি।

ছেলেদের জন্য তিনিটি ট্রেড যথাক্রমে, ওয়েল্ডিং, ইলেকট্রিক্যাল মেইনটেন্যান্স, এবং রিফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং। সেপা প্রকল্পের মাধ্যমে এ ৩ হাজার ৯৬৩ জন মহিলা ও ৩ হাজার ৯৬০ জন পুরুষসহ সর্বমোট ৭ হাজার ৯২৩ জনকে বিভিন্ন শিল্পকারখানায় সরাসরি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছে প্রশিক্ষণার্থীরা

দেশের বেশকিছু বড় প্রতিষ্ঠান সারা বছরই বিটাকের কাছে প্রশিক্ষিত কর্মী চেয়ে চিঠি দেয়। এর মধ্যে রয়েছে প্রাণ আরএফএল গ্রুপ, বেঙ্গল প্লাস্টিক লিমিটেড, নাসির গ্রুপ লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মা লিমিটেড, ফিলিপস, নিটোল টাটা, ইস্টার্ন টিউবস, অ্যানার্জি প্যাক, ডেকো গ্রুপ, রহিম আফরোজ, আয়েশা মেমোরিয়াল হসপিটাল, চায়না বাংলা কোম্পানি, হরিজন প্লাস্টিক এবং শাহ সিমেন্টসহ অন্যান্য আরও কিছু কোম্পানি।

বিটাকের কাজ নিয়ে কথা হয় প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বিটাকের কাজ সম্পর্কে তিনি জানান, কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনবল সৃষ্টি, নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য আমদানি বিকল্প মেশিন পার্টস উৎপাদন এবং শিল্পক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তি আহরণ ও হস্তান্তরসহ শিল্পখাতকে পরামর্শ প্রদান করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।

এছাড়া শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে পরামর্শ প্রদান, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশের নকশা প্রণয়ন ও সেগুলো তৈরি বা মেরামত করে দেশের শিল্পায়নে সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে। এসএমই সেক্টরে বিভিন্ন কারিগরি বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে শিল্প সেক্টরের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে বিটাক।

তিনি জানান, বিটাকের ঢাকা কেন্দ্র ছাড়াও চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া ও চাঁদপুরে কেন্দ্র রয়েছে। প্রতিটি বিভাগে একটি কেন্দ্র নির্মাণের অংশ হিসেবে আরও ৪টি কেন্দ্র নির্মিত হবে। সেগুলো হবে বরিশাল, রংপুর, জামালপুর (ময়মনসিংহ বিভাগের জন্য) এবং সুনামগঞ্জ (সিলেট বিভাগের জন্য)।

ড. মো. মফিজুর রহমান বিটাকের প্রশিক্ষণ সম্পর্কে বলেন, বিটাকের নিয়মিত প্রশিক্ষণ কোর্স রয়েছে প্রায় ২৫টি, তার মধ্যে ১৪ সপ্তাহব্যাহী কোর্স ১১টি, ৪/৬ সপ্তাহ মেয়াদি কোর্স আছে ১৪টি এবং ২/১ সপ্তাহব্যাপী আছে ৩/৪টি।

এছাড়াও আছে অ্যাটাচমেন্ট কোর্স। নিয়মিত প্রশিক্ষণ কোর্সগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মেশিন সপ, ইলেকট্রিক্যাল মেইনটেন্যান্স, ওয়েল্ডিং, ফাউন্ড্রি, অটোমোবাইল, হিট ট্রিটমেন্ট, সিএনসি লেদ, সিএনসি মিলিং, পিএলসি ইত্যাদি।