স্বামী অনীক মাহমুদের সঙ্গে ডিভোর্স চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছেন চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী শাবনূর। গত বছরের শেষ দিকে ঢাকায় এসে এই সিদ্ধান্ত নেন বলে প্রথম আলোকে জানান শাবনূর। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে শাবনূর বলেন, বনিবনা না হওয়ার কারণেই সংসারে বিচ্ছেদ চেয়েছেন তিনি।

তবে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে আজ বুধবার সকালে অনীক মাহমুদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে বলেন, তিনি কোনো ধরনের নোটিশ হাতে পাননি। উল্টো জানতে চেয়েছেন কে বা কারা এই ধরনের খবর ছড়িয়েছে। অনীকের দাবি, আজ সকালেই শাবনূরের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। কিন্তু ডিভোর্সের ব্যাপারে তো কোনো কিছু বলেননি! শাবনূরের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে, তিনিই ডিভোর্সের কথা বলেছেন—প্রথম আলোর প্রতিবেদকের এ মন্তব্য পর অনীক মাহমুদ বললেন, ‘ও আচ্ছা।’ এরপর তিনি ফোন কলটি কেটে দেন।

স্বামীর সঙ্গে শাবনুর। ছবি: সংগৃহীত

২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর ভালোবেসে দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে করেন শাবনূর ও অনীক মাহমুদ। বিয়ের পরের বছরই ২৯ ডিসেম্বর এই দম্পতির ঘর আলোকিত করে আসে ছেলেসন্তান। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাঁর সংসার ভাঙনের দিকে একধাপ এগিয়ে যায়।

স্বামী অনীক মাহমুদের সঙ্গে ডিভোর্স চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছেন চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী শাবনূর। গত বছরের শেষ দিকে ঢাকায় এসে এই সিদ্ধান্ত নেন বলে প্রথম আলোকে জানান শাবনূর। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে শাবনূর বলেন, বনিবনা না হওয়ার কারণেই সংসারে বিচ্ছেদ চেয়েছেন তিনি।

তবে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে আজ বুধবার সকালে অনীক মাহমুদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে বলেন, তিনি কোনো ধরনের নোটিশ হাতে পাননি। উল্টো জানতে চেয়েছেন কে বা কারা এই ধরনের খবর ছড়িয়েছে। অনীকের দাবি, আজ সকালেই শাবনূরের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। কিন্তু ডিভোর্সের ব্যাপারে তো কোনো কিছু বলেননি! শাবনূরের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে, তিনিই ডিভোর্সের কথা বলেছেন—প্রথম আলোর প্রতিবেদকের এ মন্তব্য পর অনীক মাহমুদ বললেন, ‘ও আচ্ছা।’ এরপর তিনি ফোন কলটি কেটে দেন।

২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর ভালোবেসে দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে করেন শাবনূর ও অনীক মাহমুদ। বিয়ের পরের বছরই ২৯ ডিসেম্বর এই দম্পতির ঘর আলোকিত করে আসে ছেলেসন্তান। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাঁর সংসার ভাঙনের দিকে একধাপ এগিয়ে যায়।

স্বামীর সঙ্গে শাবনুর। ছবি: সংগৃহীত

শাবনূরের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ জানুয়ারি স্বামী অনীককে তালাক দিয়েছেন শাবনূর। নিজের সই করা নোটিশটি আইনজীবীর মাধ্যমে অনীক মাহমুদের কাছে পাঠান তিনি।

সিডনি থেকে শাবনূর প্রথম আলোকে বলেন, ‘সন্তান জন্মের পর থেকেই আমাদের মধ্যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়। অনেকগুলো বিষয়ে মতের অমিল হচ্ছিল। এরপর আমরা আলাদা থাকা শুরু করি। ভাবলাম, একটা সময় উপলব্ধিতে পরিবর্তন আসবে। কিন্তু তা আর হলো না। এরপর অনীকের বাবা-মায়ের সঙ্গেও কথা বলা হয়। অনেক চেষ্টার পরও বনিবনা হচ্ছিল না। তারপর ভাবলাম, এভাবে থাকার চেয়ে আলাদা থাকাটাই ভালো। আইনজীবীর মাধ্যমে ২৬ জানুয়ারি তালাক নোটিশ অনীকের বাসায় পাঠানো হয়।’

শাবনূর আরও বলেন, ‘অভিনয়ে এসে অনেক চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে নিজেকে সবার ভালোবাসার মানুষ হিসেবে তৈরি করেছি। সংসারজীবন শুরু করেছিলাম ভালো থাকার আশায়। চলচ্চিত্রে সবার ভালোবাসা পাওয়া আমার হয়তো সংসারজীবনের ভালোবাসা ভাগ্যে লেখা ছিল না। তাই সংসারজীবনে বিচ্ছেদ করতে হয়েছে। অনীকের পরিবার আছে, আমারও পরিবার আছে—দুজনেরই সমাজ আছে, সেখানে দুজন নিজেদের মতো করে থাকুক এটাই চেয়েছি।’

কী এমন মতের অমিল হয়েছিল যে বিচ্ছেদের মতো সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে? এমন প্রশ্নে শাবনূর বলেন, ‘সন্তান জন্মের পর অনীক পরিবারের প্রতি অনেক দায়িত্বশীল আচরণ করত না। অনেকবার বলার পরও তাঁর দায়িত্ব আর আচরণগত পরিবর্তন আসেনি, তাই ভাবলাম, এভাবে থাকার চেয়ে না থাকাটাই ভালো।’