স্পোর্টস ডেস্ক :

দুর্ভাগ্য কার্ডিফ সিটির। ক্লাবের ইতিহাসের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় কিনলেন। কিন্তু সে খেলোয়াড়ই নেই বেঁচে। মাঠে নামার আগেই পৃথিবীর মায়া কাটিয়েছেন ২৮ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড এমিলিয়ানো সালা। তাই তার ট্রান্সফার ফি দিতে চাইছিল না ক্লাবটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফিফার হস্তক্ষেপে প্রথম কিস্তির ৬ মিলিয়ন ইউরো পরিশোধ করতে হচ্ছে তাদের।

ফরাসি ক্লাব নতেঁকে প্রথম কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে বলেছে ফিফা। চুক্তিতে ১৭ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়েই সালাকে কিনেছিল কার্ডিফ। পুরো অর্থ পরিশোধ করতে হবে কি না তা পরিষ্কার করে জানায়নি ফিফা। অবশ্য চুক্তিতেই উল্লেখ ছিল তিনটি কিস্তিতে সালার ট্রান্সফার ফি প্রদান করবে ওয়েলসের ক্লাবটি। যদিও এর আগে একবার ঠিক হয়েছিল কোনও ট্রান্সফার ফি দেবে না কার্ডিফ। সোমবার উল্টো নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

এক বিবৃতিতে ফিফা জানিয়েছে, ‘সভায় ফিফার স্ট্যাটাস কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে কার্ডিফ সিটিকে নঁতের প্রাপ্য চুক্তি অনুযায়ী প্রথম কিস্তির ৬ মিলিয়ন ইউরো প্রদান করতে হবে। এবং এটা পরিশোধের জন্য ১০ দিন সময় দেওয়া হলো। তার মৃত্যুর আগে যে চুক্তি হয়েছিল সেটাকে সব পক্ষেরই সম্মান করা উচিৎ।’

তবে বাকী কিস্তির কি হবে বিষয়টি গোপন রেখেছে প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি, ‘গোপনীয়তার কারণে আমরা ভবিষ্যতের সম্ভাব্য কিস্তি বা স্থানান্তর চুক্তির অন্যান্য শর্ত নিয়ে এই মুহূর্তে মন্তব্য করতে পারছি না।’

সালার মৃত্যুর পর দুই ক্লাব ভিন্ন ধর্মী মতবাদ দিতে থাকে। এক পক্ষের দাবী তাদের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। অপর পক্ষের দাবী সালা তখনও অফিসিয়ালি তাদের খেলোয়াড় হননি। পরে দুই ক্লাবই সিদ্ধান্তের জন্য সুইস-ভিত্তিক আরবিট্রেশন কোর্ট অফ স্পোর্টসের কাছে আবেদন করে।

ফিফার এ সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নঁতে। ক্লাবটির আইনজীবী বলেছেন, ‘কার্ডিফকে অবশ্যই তাদের প্রতিশ্রুতি এবং খেলার নিয়মকে সম্মান করা উচিৎ।’ তবে কার্ডিফের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ফিফার সিদ্ধান্তটি স্বীকার করে নিলেও বিষয়টি সম্পর্কে আরও বিস্তারিতভাবে জেনেই পরবর্তী পদক্ষেপের নেবে তারা।

নিজেদের ইতিহাসের রেকর্ড ট্রান্সফার ফি ১৭ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে সালাকে কার্ডিফ। ফাঁকা জায়গা ও কাউন্টার অ্যাটাকধর্মী খেলা পছন্দ ছিল সালার। যা ওয়েলসের ক্লাবটির সঙ্গে মিলে যায়। তাকে আপ্যায়ন করতে মুখিয়ে ছিল ক্লাবটির সমর্থকরা। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। ক্লাবটির হয়ে খেলতে গত ২১ জানুয়ারি ফ্রান্স ছেড়েছিলেন সালা। কিন্তু ইংলিশ চ্যানেলে বিধ্বস্ত হয় এ আর্জেন্টাইন ফুটবলারকে বহনকারী বিমান।

একটি সিঙ্গেল টার্বাইন ইঞ্জিন বিমান নিয়ে রওনা হয়েছিলেন সালা। অ্যালডারনির চ্যানেল দ্বীপের কাছাকাছি সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং বিমান বিধ্বস্ত হয়। উদ্ধার অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০ দিন পর পাওয়া যায় বিমানের ধ্বংসাবশেষ। সেখান থেকে  উদ্ধার হয় একটি মৃতদেহ। পরে পরীক্ষার পর জানা যায় মৃতদেহটি ছিল সালার। তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বিমান চালক।

বাংলাপোস্ট২৪ /জামিল
সূত্র :ডেইলি ষ্টার