অনলাইন ডেস্ক :
ক্ষুধা লাগলে যেমন খাবার প্রয়োজন হয় , তেমনি নারী পুরুষ একটি নির্দিষ্ট বয়সে উপনীত হলে তাদের যৌন চাহিদা সৃষ্টি হয় ৷
এটা আল্লাহর একটি সৃষ্টি। তাই প্রতিটি ছেলে মেয়ের উপযুক্ত বয়সে বিবাহ হওয়াটাই শ্রেয়।
কিন্তু আমাদের সমাজে পড়াশোনার নামে , ক্যারিয়ার গড়ার নামে উপযুক্ত সময় থেকে অনেক পরে ছেলে-মেয়েদের বিবাহ দেয়া হয়।
ফলে যৌন চাহিদার বর্শবর্তি হয়ে যেনা ব্যভিচারে পা বাড়ায় যুবক যুবতীরা ৷
আর এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক ৷ কারণ আপনি যদি একটি বিড়াল পালেন , আর তাকে খেতে না দেন তাহলে সুযোগ পেলেই বিড়াল আপনার হাড়ির খাবার চুরি করবে ৷
অভিভাবকরা ইচ্ছে করেই ছেলেমেয়ের বিয়ে দেরীতে দিচ্ছে , সুতরাং যেনা তো হবেই ৷ আপনার মেয়ে অন্য ছেলের সাথে তো পালাবেই ৷ এটা আপনারই কর্মফল ৷
সরকারি বিধান মোতাবেকও যদি একজন নারীর বিয়ের বয়স ১৮ বছর এবং একজন পুরুষের বিয়ের বয়স ২১ বছর হয় তারপরও অনেক অভিভাবকেরা ছেলের বয়স নিয়ে গেছে ৩০/৩৫ এ এবং মেয়ের বয়স নিয়ে গেছে ২৫/২৮ এ ৷
অথচ ইসলামিক রাষ্ট্রে ছেলে মেয়েদের এত দেরীতে বিবাহ দেয়ার কোনো সুযোগ নেই ৷
অভিভাবকের কাছে এখন বিবাহ হয়ে গেছে কঠিন তাই যেনা হয়েছে সহজ ৷
এর জন্য এই সমস্ত সহীহ দ্বীনহীন অভিভাবকরাই দায়ী!
আল্লাহ্ প্রতিজ্ঞাও করেছেন “ বিয়ে করলেই তোমাদের ধনী করে দিবো।”
তবুও মেয়ে বিয়ে দেয়ার সময় কেবলই চাকুরীজীবী ছেলে খোজাটা মূলত আল্লাহ্’র উপর অনির্ভরশীলতা’র ইঙ্গিত।
আমি তো মনে করি,
“একটা ভালো চাকুরী’র পূর্বশর্তই হচ্ছে “বিয়ে”।
কেননা, তখন তাকে রিজিক প্রদান করার দায়িত্ব স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা নিয়ে নেন।
পড়ুন সেই মহাপবিত্র আয়াতে কারীমা…
” ﻭﺃﻧﻜﺤﻮﺍ ﺍﻻﻳﺎﻣﻲ ﻣﻨﻜﻢ ﻭ ﺍﻟﺼﺎﻟﺤﻴﻦ ﻣﻦ ﻋﺒﺎﺩﻛﻢ ﻭ ﺇﻣﺎﺋﻜﻢ ﺇﻥ ﻳﻜﻮﻧﻮﺍ ﻓﻘﺮﺍﺀ ﻳﻐﻨﻬﻢ ﺍﻟﻠﻪ “
(তোমাদের মধ্য হতে যারা বিবাহহীন তাদের বিবাহ দিয়ে দাও এবং দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎ তাদেরকেও। তারা যদি নিঃস্বও হয়ে থাকেন তবে স্বয়ং আল্লাহ্ তাকে ধনী বানিয়ে দেবেন)
– সূরা নুর। আয়াতঃ ৩২।
.অবশ্য উক্ত আয়াতে বিবাহহীনদের অবিভাবকদেরকেই আল্লাহ্ এ আদেশ করেছেন। কেননা আল্লাহ্ জানেন, অবিভাবকেরা কি সব চিন্তা করেন।
অবস্থা এমন দাড়িয়েছে যে কেউ বিয়ে করতে চাওয়া সামাজিকভাবে খারাপ চোখে দেখা হয়।
আমাদের সমাজে কেউ কারো বিয়ের কথা শুনলে মানুষ এতাটাই অবাক হয় যে অবৈধভাবে প্রেম ভালোবাসা যেনা করলেও এতোটা অবাক হয়না।
বিষয়টা এখন সম্পূর্ণ উল্টো হয়ে গেছে,আগে মানুষ প্রেম ভালোবাসার কথা শুনলে অবাক হতো লজ্জা পেত, এখন তার বিপরীত।
এ কারণেই আজ আমাদের সমাজের এত অধঃপতন।
ছেলে বিয়ে করে মেয়েকে খাওয়াবে কি..!?
আপনার আরেকটা মেয়ে থাকলে তাকে খাওয়াতেন না? তাহলে সমাজকে পাপমুক্ত করার জন্যে নিজের মেয়েকে বিয়ে দিয়ে অন্যের ঘরে তুলে দিয়ে, ছেলেকে বিয়ে করিয়ে অন্যের মেয়েকে ঘরে তুলে নিজের মেয়ের এখনো বিয়ে হয়নি মনে করে অন্যের মেয়েকে খাওয়াতে অসুবিধা কোথায়??
শুধু প্রতিষ্ঠিত ছেলের সাথেই বিয়ে দিতে হবে এই চিন্তা কেন আসবে..?
প্রতিষ্ঠিত বলতে কি বুঝেন আপনি..?
ভুলে যাবেননা মানুষের ভাগ্য” হায়াত মউত এগুলো মানুষের হাতে থাকেনা কখনো বলেও আসেনা।
ধরুন,আজকে আপনি একজন ভালো চাকুরীজীবি প্রতিষ্ঠিত ছেলের সঙ্গে আপনার মেয়েকে বিয়ে দিলেন,দুর্ভাগ্যবশত বিয়ের পরে তার মৃত্যু হলে বা তার চাকুরী চলে গেলো তখন কি করবেন.?
তাই প্রতিষ্ঠিত নয়,একজন ভালো নামাজি দ্বীনদার ছেলে দেখেই বিয়ে দিন,এতে তারা সাময়িক কিছু করতে না পারলেও তাদের দ্বীনদারীত্বের কারনে আল্লাহর রহমত অবধারিত থাকবে, এবং ভাল একটা কিছুর ব্যবস্থা হবে ইনশাআল্লাহ ।
আর বদবখত,লম্পট, প্রতিষ্ঠিত ছেলে দেখে দিবেনতো বিয়ের পরে পস্তাতে হবে,যতই প্রতিষ্ঠিত হউক আল্লাহর রহমত না থাকলে গজব অবধারিত।
টাকা পয়সা মানুষ্কে সুখ শান্তি এনে দিতে পারেনা।
সুতরাং,আপনার মেয়েকে বিয়ে দিয়ে ছেলেকে বিয়ে করিয়ে সমাজের অসংখ্য ছেলেকে চারিত্রিক শুদ্ধতা নিয়ে বেড়ে উঠতে সহযোগিতা করুন।নিশ্চই এখন যে ছেলেটা বেকার সেই কয়দিন পর প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ে করবে। তখন কিন্তু তার চাহিদাও বেড়ে যাবে। প্রতিষ্ঠিত হয়েই যখন বিয়ে করতে হল, তখন ভাল দেখেই বিয়ে করি। তখন দেখা যায় এসকল আপুদের আর বিয়ে হয় না।আবার কোন কোন অবিভাবক লেখা-পড়া শেষ করার আগে বিয়ে দিতে চায়না,ফলে মেয়ের বয়স বেড়ে যায় প্লাস চেহারার লাবন্নতা নষ্ট হয়। বয়স্ক মেয়েকে কেউ বিয়ে করতে চায়না আরো যদি লাবন্নতা হ্রাস পায়,তাহলেতো কথায় নাই।তাই দেখা যায় অনেক আপুদের বিয়ে হচ্ছেনা বলে অবিভাবকদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।কয়েক বছর আগেও যে সকল প্রস্তাব নাকোচ করে দিয়েছি,এখন তাদের হয় বিয়ে হয়েছে তা নাহলে এখন আর তারা আগ্রহী নয়।তো আসুন সবাই বিয়েকে তথা হালালকে সহজ করি এবং প্রেম তথা হারামকে কঠিন করি।
ছেলে-মেয়েকে বিয়ে দিন সাবালক হলেই…
আপনি যদি বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার কলুষিত দিকগুলো দেখেন তার অধিকাংশের কারণ মূলত বিয়েতে দেরি করা। তা আপনি বুঝুন আর না-ই বুঝুন!
পিতা-মাতা তথা অভিভাবকদের জন্য দুটি দিকে খুবই দায়িত্ববান হওয়া দরকার। সন্তান লালন-পালনে সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। সন্তানকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। বিয়ের উপযুক্ত বয়স হলেই বিয়ে দিতে হবে।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার কোনো সন্তান জন্ম লাভ করে সে যেন তার সুন্দর নাম রাখে এবং তাকে উত্তম আদব-কায়দা শিক্ষা দেয়। যখন সে বালেগ হয় তখন যেন তার বিবাহ দেয়। যদি সে বালেগ হয় এবং তার বিবাহ না দেয় তাহলে সে কোনো পাপ করলে, সে পাপ তার পিতার উপর বর্তাবে।’ (বায়হাকী, মিশকাত হা/৩১৩৮)।
বিবাহের বয়স হওয়ার পর ছেলেমেয়ে যত ধরনের অবৈধ সম্পর্ক,যেনা ব্যভিচার করবে সেই পাপ ঐ ছেলেমেয়ের পিতার বা অভিবাকের হবে ।
? অতএব,
আপনি ও আপনার সন্তানকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করতে ও সুন্দর সমাজ গড়তে
আপনার সন্তানকে সামর্থ্য থাকলে বিয়ে দিয়ে দেন তাড়াতাড়ি।
:
আল্লাহ বলেনঃ
চরিত্র রক্ষার জন্য যারা বিয়ে করবে তারা যদি অভাবি হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দিবেন। (সুরা নুর : ৩২)
দুর্গাপুজোর আগে কলকাতায় জুয়া বিরোধী অভিযানে নামে পুলিশ। শেক্সপিয়ার সরণি এলাকার মোট তিনটি জায়গায় অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশ। সেখান থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে আরসালান–এর মালিক পারভেজ আখতারও আছেন। একটি রেস্তোরাঁ থেকে জুয়া খেলার সময় তাকে আটক করা হয়েছে। এখন তাকে জেরা করছেন তদন্তকারীরা। ছেলের কেলেঙ্কারির পর এবার বাবার কেলেঙ্কারিতে সরগরম রাজ্য।
ভারতে পোকার নামক জুয়া খেলা নিষিদ্ধ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এদিন শহরের তিনটি জায়গায় অভিযান চালান কলকাতা পুলিশ। জুয়া খেলার অভিযোগে সেখান থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। কলকাতার একটি পানশালায় জুয়ার আসর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আরসালান রেঁস্তোরা চেনের মালিক আখতার পারভেজকে। যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলে জুয়া বিরোধী আইনে পারভেজ আখতারকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। জুয়ার আসর থেকে হাতেনাতে ধরা পড়ে যান আখতার পারভেজ–সহ মোট ১০ জন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ আগস্ট রাতে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় বেড়াতে ও চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন তিন বন্ধু। উঠেছিলেন কলকাতার মার্কুইস স্ট্রিটের একটি হোটেলে। ১৭ আগস্ট রাতে খাবার খেতে তারা হোটেল থেকে বের হন। খাবার খেয়ে ফেরার পথে তারা বৃষ্টিতে আটকা পড়েন। তখন আশ্রয় নেন পুলিশ কিয়স্কের নিচে। এ সময় একটি জাগুয়ার গাড়ি হঠাৎ এসে চাপা দেয় তাদের। ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। আরেকজন আহত হন। নিহত দুজন হলেন কাজী মুহম্মদ মইনুল আলম (৩৬) ও ফারহানা ইসলাম ওরফে তানিয়া (৩০)। আহত হন কাজী সফি রহমতউল্লাহ।
দুর্ঘটনার পরে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন রাঘেব। দুবাই থেকে ফেরার পরে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুর্ঘটনার পরপর জাগুয়ারের চালক গাড়ি ফেলে পালিয়ে যান। প্রথমে ধারণা করা হয় গাড়িটি জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ আরসালানের মালিক আকতার পারভেজের ছোট ছেলে পারভেজ আরসালান চালাচ্ছিলেন। তাকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি নন, গাড়িটি চালাচ্ছিলেন তার বড় ভাই রাঘিব আরসালান। পরে পুলিশ এই মামলায় রাঘিব আরসালান ও তার মামা মহম্মদ হামজাকে গ্রেফতার করে।
বাংলাপোস্ট২৪ /শরিফুল আলম (মালয়েশিয়া )
সূত্র :মুফতী মাহমুদ উল্লাহ আতিকি দাঃবাঃ