বাংলাপোস্ট ডেস্কঃ ( শরিফুল আলম মালয়েশিয়া প্রতিনিধি)

বাংলাদেশের সংগঠন বা মিডিয়া গবেষণা মূলক জরিপ না করলেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং মিডিয়া মধ্যপ্রাচ্যের বভিন্ন দেশে বাংলাদেশী শ্রমিকদের উপর নির্যাতন নিয়ে গবেষণা করেছে।

NPR অর্গেনাইজেশন বলেছে যে, বাংলাদেশী শ্রমিকারা বছরে ১৫ বিলিয়ন ডলার দেশের অর্থনীতিতে যোগান দিচ্ছে। কিন্তু এর বিনিমিয়ে অসংখ্য শ্রমিককে নিয়োগকর্তার বর্বরোচিত শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন ভোগ করতে হয়। আবার অনেক নারীকে ধর্ষিতা হতে হচ্ছে।

অন্যদিকে, সৌদি আরব থেকে বিভিন্ন প্রকার নির্যাতনের শিকার হওয়া শাতাধিক নারীর সাক্ষাৎকারের পরিসংখ্যা প্রকাশ করেছে আল-জাজিরা। এতে দেখা যায় ৮৬% পুরো বেতন পান নাই। ৬১% শারিরীক ভাবে নির্যাতিনের শিকার হয়েছেন, ৪% কে খাবার থেকে বঞ্চিত করা হতো এবং ১৪% যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো বাংলাদেশ সরকারের কাছে এসব কোন বিষয়ই নয়।
ধর্ষণসহ নানা নির্যাতনের শিকার হয়ে ফিরে আসছে গৃহকর্মীদের বড় একটি অংশ। নির্যাতন সইতে না পেরে আত্মহত্যাও করছেন অনেকে। এসব উল্লেখ করে সৌদি আরবে এখনই নারীকর্মী পাঠানো বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন মানবাধিকার কর্মী ও অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা।


কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছে যে, ফেরত আসা ও নির্যাতনের শিকার নারীর সংখ্যা তেমন একটা উল্লেখযোগ্য নয়।
সে আরোও বলেছে যে, নারী পুরুষের সমানাধিকার সমোন্নত রাখতেই নাকি গৃহকর্মী রপ্তানী বন্ধ করা যাবে না।

আমার প্রশ্ন হলো, নির্যাতিত, ধর্ষিতা এবং লাশের সংখ্যা বা শতকরা হার কত হলে মোমেনের কাছে উল্লেখযোগ্য হবে?
জেনে বুঝে নির্যাতন ও ধর্ষণের মুখে ঠেলে দেওয়ার নাম কি সমানাধিকার?

০১/১১/১৯ ইং।